জনগণ ডট কম ঢাকা :
গত রবিবার ইসমাইল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমনির
ছবি প্রকাশকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় শুরু হয়ে
গিয়েছিলো। রবিবার দুপুরে অনিক আব্রাহাম নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুকে এইসব
ছবি পোস্ট করেছিলেন।
ইসমাইল নামে কথিত স্বামীর সঙ্গে পরীমনির ছয়টি ছবি পোস্ট করে অনিক আব্রাহাম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন,
‘আমার বন্ধু ইসমাইল আর তার স্ত্রী স্মৃতি মনি, যে আজ বাংলা চলচ্চিত্রের
আলোচিত নায়িকা পরীমনি। এক সময় ভোলা সদরেই থাকত তার জামাইর বাড়িতে। তারপর
তার নেশা গেল অর্থ আর লোভ-লালসার

দিকে।
যার জন্য আমার সহজ-সরল বন্ধুকে ত্যাগ করতে দ্বিধাবোধ করল না। যাই হোক
ছবিগুলো দেখে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। তাই সবার সঙ্গে একটু শেয়ার
করলাম।’
পরীমনি তার স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন,
‘ভাবখানা এমন যে আমার সেক্স ভিডিও পেয়ে গেছেন! আরে ভাই, এ রকম ছবি আমার
হাজারজনের সাথে আছে। তার মানে এই না যে সেই হাজারজন আমার জামাই লাগে। আর
কী এমন ছবিখানা পাইছেন যেইখানা নিয়া এত্তো লাফালাফি শুরু কইরা দিছেন?
পরীমনি আরও জানান, ‘ছবির ছেলেটি আমার কাজিন। ছোটবেলা থেকেই তাকে আমি চিনি।
তাছাড়া এ ছবিতে এমন কী আছে যে ছেলেটিকে আমার স্বামী বলা হচ্ছে। সত্যিই যদি
সেটা হয় তবে প্রমাণ হাজির করুক।’
অনিক আব্রাহামের ফেসবুকের পোস্টের ভিত্তিতে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আবারও
যথাযথ প্রমাণ হাতে নিয়েই হাজির হন আরেক ব্যক্তি শাকিল রিয়াজ।
রাতে শাকিল রিয়াজ তার ফেসবুকে সৌরভ কবীর নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরীমনির
বেশকিছু ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করেন। এমন কি গণমাধ্যমের কাছে পরীর সঙ্গে বিয়ের
কাবিননামাও প্রকাশ করেন।

শাকিল রিয়াজের দেওয়া ফেসবুকের লেখাটি এমন,
‘একটু আগে পরীমনি ভাবীকে নিয়ে একটা পোস্ট দেখলাম, যেখানে ভাবীকে নিয়ে
বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর স্ক্যান্ডাল ছড়ানো হয়েছে। আসল সত্য হয়তো অনেকেই জানেন
না। পরীমনির আসল নাম সামসুর নাহার স্মৃতি। ভাবী আমাদের খুব কাছের বড়
ভাইয়ের বৌ। ভাইয়ের নাম সৌরভ কবীর। ভাবীকে নিয়ে এইসব বিভ্রান্তিকর তথ্য
ছড়ানোর কারণে আমি আর মুখবুজে থাকতে পারলাম না। আমার মনে হলো এখনই সময়- আসল
সত্যটা সবার সামনে তুলে ধরার। ভাই এবং ভাবীর বিয়ে হয় ২৮ এপ্রিল ২০১২ সালে। ৩
বছর প্রেম করার পরে তারা নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করে এবং পরে সেটা দুই পরিবার
থেকেই মেনে নেয়। ভাইয়ের বাসা যশোরের কেশবপুরে। ভাই এবং ভাবী নিজেদের পেশার
জগৎ আলাদা। ভাই পেশায় একজন প্রফেশনাল ফুটবলার। ভাই এবং ভাইয়ের পরিবারের
সম্মতিতেই ভাবী মিডিয়া জগতে প্রবেশ করে। ভাই এবং ভাবীর নিজেদের ক্যারিয়ারের
কথা চিন্তা করে তাদের এ সম্পর্কের কথা আড়াল করে রেখেছে। তারা এখনও একসঙ্গে
বিবাহিত জীবনযাপন করছেন। কিন্তু আজকের এ ঘটনার পরে আমি আর মুখবুজে থাকতে
পারলাম না। আসল সত্য সবার সামনে তুলে ধরলাম। ভাই এবং ভাবী আপনারা কিছু মনে
করলেও আমি বাধ্য হয়ে এই পোস্টটি করলাম। আমার এই পোস্ট নিয়ে যদি কারও কোনও
সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে আমরা প্রমাণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’
এখন এ নিয়ে মিডিয়া অঙ্গনে সবারই মনে বেশ কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সবারই মনে একই প্রশ্ন, যে আসল সত্যটা কি ?
No comments: