রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি: তামিম

ঢাকা: এশিয়া কাপে এক ধরণের কন্ডিশনে খেলেছিল বাংলাদেশ দল। আর টি২০ বিশ্বকাপে ভিন্ন ধরণের কন্ডিশনে খেলতে হচ্ছে মাশরাফি বাহিনীকে। ভারতের ধর্মশালায় গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। তাই কন্ডিশনটা ছিল বিরূপ। এই ধরণের পেস সহায়ক উইকেটে নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক টস জিতে বেছে নেন ফিল্ডিং। তাই প্রথমে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশকে। তবে ওপেনিংয়ে নেমে খুব শান্ত থাকার চেষ্টা করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৩ রান করা তামিম ইকবাল। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ভালোই খেলেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি ওপেনার। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ব্যাট হাতে ছিলেন আরও মারমুখি। সেই ধারাবাহিকতায় টি২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে তামিম অপরাজিত ৮৩ রান করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ও। সৌম্য সরকারকে নিয়ে ওপেনে খেলতে নেমে শুধু টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি হার্ডহিটার ওপেনার। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ততটা সহজ ছিল না। তাই শুরুতে বল হোল্ড করছিল। ধর্মশালার এই ধরণের উইকেটে শুরুতে কিছু সময় নিতে হয়। এখানে সেট হয়ে বিগ শট খেলাই ভালো। আমি সেটাই করছিলাম। দীর্ঘসময় ক্রিজে থাকতে চাচ্ছিলাম। তাই শান্ত থেকে ব্যাটিং করছিলাম। জোরের ওপর না খেলে টাইমিং করছিলাম। এগুলোই আমার এদিনের পরিকল্পনা ছিল এবং আমি তাতে সফল হয়েছি।’ উইকেটে গিয়ে বড় শটের পরিবর্তে ধরে খেলার চিন্তা করেছিলেন তামিম। এমন পরিকল্পনা করায় শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি ওপেনার সফলও হয়েছেন। এ বিষয়ে বাঁহাতি ওপেনার বলেন, ‘আমি ক্রিজে শান্ত থাকার চেষ্টা করছি। শুরুতেই হার্ড হিট করার কোনা চিন্তা করছি না। দীর্ঘসময় ব্যাটিং করার পরিকল্পনা করেছি। এগুলোই আমার পরিকল্পনা ছিল। সবকিছু যদি পক্ষে যায় তাহলে আমার সফলতা পাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা থাকে। শেষ পর্যন্ত সেইভাবে খেলার চেষ্টা করেছি।’ বাংলাদেশ দল প্রয়োজনমাফিক টি২০ ম্যাচ খেলে না। তাই ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশের সাফল্য নেই বললে চলে। টি২০ ম্যাচ নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন থাকেন না তামিম। এ বিষয়ে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ওপেনার বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম না। আমরা টি২০ বেশি খেলি না। এক বছরে ৪টি বা ২টি, এরকম। যার কারণে গত দশ বছরে বাংলাদেশ ৫০টির বেশি টি২০ ম্যাচ খেলেছে। তবে শেখার কোনো শেষ নেই। আমি সিনিয়রদের সঙ্গে বিশেষ কিছু নিয়ে কথা বলেছি, কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছি। শেষ দুই-তিন মাস কিংবা শেষ ছয় মাস আমার জন্যে খুব ভালো লাগছে। যেভাবে খেলে এসেছি সেটা বিশ্বকাপে কাজে লাগাতে পেরে আমি খুবই খুশি।’

No comments: