রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

এবার বেরিয়ে এল টাইগারদের হেরে যাওয়ার আসল রহস্য!

এশিয়া কাপে বুকভরা আশা নিয়ে প্রতিক্ষায় ছিল টাইগার ভক্তরা। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। বহু প্রতিক্ষার পর অশ্রুসিক্ত নয়নে ঘরে ফিরতে হয় টাইগার ভক্তদের। অশ্রুশিক্ত নয়নে একটি রাত কাটে তাদের। কিন্তু কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছিলেন না পরাজয়ের ঘানি। তবে পরাজয়ের পেছনেও নাকি একটি কারণ রয়েছে। সেই কথা বিরাট কোহলির এক ভক্তের স্ট্যাটাস থেকেই জানা গেল। সতিই কি এমন ব্যাট দিয়ে খেলেছেন কোহলি? কি সেই রহস্য? বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। গতকালের ম্যাচে ব্যাট-বলে নজর ছিল বিশ্ববাসীর। কার হাতে কোন ব্যাট ছিল তা নজরে না আসলেও মজার এক ঘটনা ঘটেছে গতকালের খেলায়। রোববারের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটিতে ভারতের বিরাট কোহলি নাকি ‌‌‘রাবারের ব্যাট’ দিয়েই খেলেছেন। এক ক্রিকেট ভক্তের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ডেকান ক্রনিকল’ এ খবর প্রকাশ করেছে। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সাত রান করে আউট করে আউট হয়ে যান কোহলি। কিন্তু পরের ম্যাচগুলোতে দারুণ খেলেছেন তিনি, যা সবাইকে তাক লাগিয়েছেন। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ৪৯ ও অপরাজিত ৫৬ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। ফাইনালেও ৪১ রানে অপরাজিত থেকে ভারতকে শিরোপা এনে দিয়েছেন ভারতীয় এই তারকা। তার পারফরম্যান্সকে প্রশ্নিবিদ্ধ করেছেন তারিক হাসান নামের এক ক্রিকেট ভক্ত। তার অভিযোগ, রাবারের তৈরি ব্যাট দিয়ে খেলে ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েছেন কোহলি! ডেকান ক্রনিকল জানিয়েছে, কোহলির ব্যাটের ভেতরের অংশ রাবার দিয়ে তৈরি হয়েছে। বাইরের অংশ ঢেকে দেয়া হয়েছে কাঠ দিয়ে। তাই তিনি বলে ব্যাট ছোঁয়ালেই বল সীমানার বাইরে চলে যায়। এটাই তার রান করার রহস্য। এমনটাই ফেসবুকে লিখে পোস্ট করেছেন তরিক হাসান। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির ওপরও ক্ষোভ ঝেড়েছেন এই ভক্ত। তিনি লিখেছেন, কোহলির ব্যাট পরীক্ষা করেনি আইসিসি। কারণ আইসিসি=বিসিসিআই=ক্রিকেটের তিন মোড়ল। তাই তাদের সম্মান করার কিছু নেই। এ রকম না হলে ম্যাচটা কিন্তু বাংলাদেশই জিতত। অবশ্য বাংলাদেশের টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন অন্য কথা। হারের জন্য তিনি ৫টি কারণ উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো- ১. টস হারা : বৃষ্টি ভেজা দিনটি শুরুতেই হেরে যায় বাংলাদেশ। আর এতে সুবিধা লুটে ভারত। তারা টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশকে। ২. আগে ব্যাটিং: বৃষ্টি ভেজা প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করা এতটা সহজ নয়। টসে হেরে পরের ব্যাট করা দলের জন্য টার্গেট নিয়ে ব্যাট করা তুলনামূলক সহজ। কারণ ম্যাচটা ১৫ ওভারের। ১৫ ওভারে ১৫০ রানও টার্গেট করা যায়। কারণ আপনার হাতে ১১টি উইকেট। ৩. বৃষ্টি এবং ১৫ ওভার ম্যাচ : এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আগে কখনও খেলেনি। প্রবল বৃষ্টিই দলের মমেন্টামের ক্ষতি করেছে। তাছাড়া এমনিতেই আমরা ২০ ওভার ম্যাচ সেভাবে ভালো খেলি না। তারপরও আবার সেটা কমে ১৫ ওভার হয়। আমরা আশা করেছিলাম স্বাভাবিক একটা ম্যাচ। ৪. ব্যাটিংয়ে ২০ রান কম হওয়া : প্রথম দিকের ম্যাচগুলোর মত উইকেট ছিল না। এ উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। আমাদের ২০ রানের ঘাটতি ছিল। ১৩৫ -১৪০ রান করলে ম্যাচের ফল অন্য হতে পারত এবং ওই রান আমাদের করা উচিত ছিল। ৫. শুরুতে আরো দুটি উইকেট না পাওয়া : আমাদের পুঁজি কম ছিল। তাই শুরুতে দুই তিনটা উইকেট ফেলে দিতে পারলে ভারতের জন্য চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতো। ফলে রানও রেটেও বেড়ে যেত। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। ৬. অভিজ্ঞতা ও ভাগ্য : এধরনের ম্যাচ জিততে যে অভিজ্ঞতা দরকার সেই অভিজ্ঞতার পুরোটা বাংলাদেশের ছিল না। এছাড়া ভাগ্যও সহায় ছিল না। বৃষ্টি এলো, টস হারলাম, সব কিছুই আমাদের বিপক্ষে গেল।

No comments: