কাসেম আলীর আপিলের পুনঃশুনানি চান মন্ত্রী

ঢাকা : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিলের পুনঃশুনানি দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সরকার, বিচারবিভাগ ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলার রায় কী হবে তা প্রধান বিচারপতির প্রকাশ্যে আদালতে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা  অনুধাবন করতে পেরেছি। তার বক্তব্যের মধ্যে এটা অনুধাবন করেছি, এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। জামায়াত-শিবিরের আন্তর্জাতিক লবিস্টরা যে সূরে কথা বলছে একই সুরে কথা বলছেন প্রধাণ বিচারপতি। তাদের অভিযোগগুলোর সত্যতা দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় এই বক্তব্যের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের গত ৫ বছরের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ ও হত্যা করা হয়েছে। আমি মনে করি প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন করে শুনানি হওয়া উচিত। উনাকে (এসকে সিনহা) বাদ দিয়ে মীর কাসেমের শুনানি পুনরায় শুরু করুন।’ প্রধান বিচারপতির এমন বক্তব্যে শুধু ট্রাইবুনাল নয় আন্তর্জাতিকভাবেও বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। পাশাপাশি পুনঃশুনানিতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যুদ্ধাপরাদের বিচার ও বিচার পরবর্তী তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য আইনের সংশোধন করতে হবে।’ এসময় আরো বক্তব্য দেন- দৈনিক সংবাদের সম্পাদক খন্দকার মনিরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মুফিদুর হক, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সহসভাপতি মুনতাসীর মামুন, শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী ও ফেরদৌসী প্রিভাষিণী প্রমুখ।