রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

মৃত শিশু নিয়ে ব্যবসা, হাজির থেকে ব্যাখ্যা দেবেন চেয়ারম্যান

ঢাকা: জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা লুকিয়ে চিকিৎসার নামে অর্থ আদায়ে র‌্যাবের দায়ের করা মামলায় লিখিত বক্তব্য দেয়ার সময় নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এদিন হাসপাতালের চেয়ারম্যানকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলেছেন আদালত। সেই সঙ্গে হাসপাতালে অভিযান পরিচালনায় অংশগ্রহণকারী র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনকে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজগুলো দাখিল করতে বলা হয়েছে। হাসপাতালের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আরো উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিকেও। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জাপান বাংলাদেশ হসপিটালের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। স্বাস্থ্য সচিবের পক্ষে ছিলেন শ.ম রেজাউল করিম। অপরদিকে আদালতের জারি করা রুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। গত ১১ ফেব্রুয়ারি জাপান বাংলাদেশ হসপিটালে শিশুটি মারা যাওয়া বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। আদালত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো আমলে নিয়ে রুল জারি করেন। তাতে বলা হয়, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের দায়িত্ব পালনের অবহেলাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, শিশুটি মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের বিরুদ্ধে কেন নিয়মিত ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হবে না এবং নিহত শিশুটির পরিবারকে কেন আর্থিক ক্ষতিপুরণের নির্দেশ দেয়া হবে না রুলের জবাবে তা ১০ মার্চের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত হন। তারা এ ঘটনায় হলফনামা আকারে জবাব দিতে সময়ের আবেদন করলে আদালত আগামী ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেন। সেদিন  হলফনামা দাখিলের পর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন বলে জানান আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। ১০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ঢাকার জিগাতলায় বেসরকারি এই হাসপাতালে অভিযানে গিয়ে একটি নির্জন কক্ষ থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত দেড় বছর বয়সী শিশু সুমাইয়া সাবাকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে এনে সোমবার এই হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তার মা। মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে সকালে তাকে জানানো হয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে অভিযানে যায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের নেতৃত্বদানকারী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযানের সময় হাসপাতালের একটি নির্জন কক্ষে দেড় বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ পাওয়া যায়। শিশুটি মঙ্গলবার সকালেই মারা যায়। ওই শিশুর মা হাসপাতালে উপস্থিত থাকলেও তাকে বা শিশুর স্বজনকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। বরং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার নামে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে শিশুটির মাকে জানায়।’ হাসপাতালের চিকিৎসকরাই আগের দিন সকালে শিশুটির মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি। এ ঘটনাসহ কয়েকটি অনিয়মের অভিযোগে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাড়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।

No comments: