রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

মাজারে জোড়া খুন : জেএমবির বাবুকে আসামি করে চার্জশিট

চট্টগ্রাম : নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য সুজন ওরফে বাবুকে আসামি করে বায়েজিদের বাংলাবাজার এলাকায় কথিত পীরের আস্তানায় ন্যাংটা ফকির ও খাদেমকে খুনের মামলা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে মহানগর হাকিম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এ চার্জশিট দুটি জমা দেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ কুমার চাকমা। বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ‘মাজারে জোড়া খুনের মামলা ও বিস্ফোরক মামলায় জেএমবির সদস্য সুজন ওরফে বাবুকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছেন ডিবির ইনভেস্টিগেশন অফিসার। এটি নিয়ম অনুযায়ী সিলগালা করে আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হবে।’ চার্জশিট দুটিতেই জেএমবি সদস্য সুজন ওরফে বাবুকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে। দুই পৃষ্ঠা করে চার পৃষ্ঠার এই চার্জশিটে মোট ২৫ জন করে সাক্ষী করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আকবর টিলা এলাকার ‘ন্যাংটা ফকিরের মাজার’ নামে পরিচিত একটি আস্তানায় ঘুমন্ত অবস্থায় রহমত উল্লাহ ওরফে ন্যাংটা ফকির ও তার খাদেম আবদুল কাদেরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত কাদেরের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবককে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ। ঘটনার তিন দিন পর আবদুল মান্নান নামের এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে বিষয়ে কিছুই জানতে পারেনি পুলিশ। বর্তমানে তিনি এই মামলায় জামিনে আছেন। অভিযোগপত্রে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ কুমরা চাকমা। গত বছরের ৫ অক্টোবর নগরের কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগরে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি, গ্রেনেডসহ জেএমবির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাদের মধ্যে সুজন ওরফে বাবুও ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন স্বীকার করেন, জেএমবি চট্টগ্রামের ‘প্রধান’ ফারদিনের নির্দেশে ন্যাংটা ফকির ও তার খাদেমকে হত্যা করেন তিনি। তবে চার্জশিটে সেই ফারদিনকে আসামি করা হয়নি। পরে মামলাটি বায়েজিদ বোস্তামী থানা থেকে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান ডিবির এসআই সন্তোষ চাকমা। গত বছরের ৭ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সুজন। ফারদিনকে আসামি না করা প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা বলেন, ‘খাদেমকে খুন করার পরিকল্পনা জেএমবির ছিল না। কিন্তু ফকিরকে খুন করার পর তার খাদেম ঘুম থেকে জেগে ওঠায় তাকেও গলা কেটে হত্যা করে ককটেল ফাটিয়ে চলে যান সুজন। সুজন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সুজন ফারদিনের নাম উল্লেখ করেনি এবং সেই একমাত্র খুনি বলে তদন্তে পেয়েছি। তাই তাকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে।’

No comments: