রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

তারেক সাঈদের আবেদনের শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার আসামি ও র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদের ‘মামলা বাতিল’ চেয়ে করা আবেদনের শুনানি করতে বিব্রত বোধ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তারেক সাঈদের আবেদন শুনানির জন্য আসলে আদালত তার আদেশে বলেন, ‘অন অব আস ফিল অব অ্যাম্রারাস। (আমাদের মাঝে একজন বিচারপতি এ আবেদন শুনানিতে বিব্রতবোধ করছেন)। হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে নিয়মানুযায়ী তারেক সাঈদের এ আবেদনটি অন্য কোনো বেঞ্চে শুনানি করতে পাঠাবেন প্রধান বিচারপতি। আজ আদালতে তারেক সাঈদের পক্ষে আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সোমবার সকালে নারায়ণ সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। দুই মামলার একটির বাদী বিজয় কুমার পালকে আসামি পক্ষের চার আইনজীবী জেরা করেছেন। তবে হাইকের্টের আদেশের জন্য নূর হোসেন ও তারেক সাঈদের পক্ষে আইনজীবীদের জেরা বিকাল ৩টায় পর্যন্ত মূলতবি ঘোষণা করেছিল আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী আশারাফুজ্জামান বলেন, ‘আজ একটি মামলা আদালতে নির্ধারিত ছিল। সকালে ২৩ আসামিসহ একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বিজয় কুমার পালের সাক্ষ্যগ্রহণের আগে সিনিয়র এক আইনজীবী আদালতকে জানান যে, এ বিষয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা সিআর মিস মামলার আদেশ দেয়া হবে আজ দুপুর ২টায়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ ৩টা পর্যন্ত আদালত নূর হোসেন ও তারেক সাঈদের পক্ষে জেরা ৩টা পর্যন্ত মূলতবী ঘোষণা করেন।’ সকাল সাড়ে ৯টায় কঠোর নিরাপত্তায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাইদসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। কিন্তু অভিযোগপত্র থেকে পাঁচ আসামিকে বাদ দেওয়ায় এবং প্রধান আসামি নূর হোসেনের জবানবন্দি ছাড়া অভিযোগপত্র আদালত আমলে নেওয়ায় ‘নারাজি’ আবেদন করেন সেলিনা ইসলাম বিউটি। আবেদনটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জজ আদালতে খারিজ হয়ে গেলে বিউটি উচ্চ আদালতে যান। হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, পুলিশ চাইলে মামলাটির ‘অধিকতর তদন্ত’ করতে পারে এবং ‘হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার’ ধারা যুক্ত করে নতুন করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুই মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছে। গত ১২ নভেম্বর নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর ১৩ নভেম্বর সাত খুনের দুই মামলাসহ ১১ মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। ১১ মামলার মধ্যে সাত খুনের দুই মামলা, চাঁদাবাজির তিন এবং অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে এসব মামলা হয়েছে।

No comments: