ভুল চিকিৎসায় স্তন কর্তন: চিকিৎসকের বিচার দাবি

শেরপুরে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর অঙ্গহানীর প্রতিবাদ ও দুই চিকিৎসকের বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। রোববার দুপুরে শেরপুর নিউমার্কেট পায়রাচত্বরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও কয়েকটি শিক্ষা ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে কর্মরত ডা. শরীফুল ইসলাম শরীফ ও ময়মনসিংহের কুন্ডু প্যাথলজির মালিক অধ্যাপক ডা. কে কে কুন্ডুকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেফতারের জন্য আল্টিমেটাম দেন জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী জয়শ্রী দাস। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানান। এ সময় একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন রহমান, জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা লুৎফুন্নাহার প্রমুখ। পরে তারা জেলা প্রশাসক ডাঃ এ এম পারভেজ রহিম ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারীশের নিকট স্মারকলিপি দেন। উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে শ্রীবরদী শহরের শান ক্লিনিকে চিকিৎসক শরীফকে স্তনের ফোড়া দেখাতে যান কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের ভূতনীকান্দা গ্রামের এক গৃহবধু। ওইসময় চিকিৎসক তার স্তনে টিউমার হয়েছে বলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে ময়মনসিংহের সেহরা এলাকার কুন্ডু প্যাথলজিতে পাঠালে সেখান থেকে ক্যান্সারের ভুল রিপোর্ট আসে। পরে ওই গৃহবধুকে শাহবাগের মডিউল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর তার বাম স্তন কেটে ফেলেন ডা. শরীফ। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বায়োপসি রিপোর্টে স্তনে ক্যান্সার নেই বলে জানানো হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার দীর্ঘ দুই মাসেও ওই দুই চিকিৎসক গ্রেফতার হয়নি।