রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

চাঁদার জন্যই জোনায়েদকে খুন, স্বীকারোক্তি খুনির

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনী এখন দু’টি ধারায় বিভক্ত। এর একটি হচ্ছে আইয়ুব বাচ্চু গ্রুপ। চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িত এ গ্রুপটি। চাঁদার দাবিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার মিরপুরে হোটেল ব্যবসায়ী জুনায়েদকে খুন করে এ গ্রুপের সদস্যরাই। মঙ্গলবার র‌্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আবু সাঈদ খান এ তথ্য জানান। সোমবার রাতে রাজধানীর গাবতলীর বিআইডব্লিউটিএ এর ওয়াটার বাস ঘাট এলাকা থেকে জোনায়েদ হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শেখ মৃদুল ওরফে বাবু ওরফে মির্জা, ফয়সাল আহমেদ মিঠু ও নুরুল ইসলাম জুয়েল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ দশমিক ৬৫ মি.মি একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আবু সাঈদ খান বলেন, গ্র“পের নেতা আইয়ুব বাচ্চু, শিশির ও মির্জা বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ফোন করে চাঁদা দাবি করত এবং চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকি দিত। মিরপুরের শাহজালাল হোটেলের  মালিক জোনায়েদকে একই কায়দায় বিদেশ থেকে চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এরপরেই জোনায়েদ ২ ফেব্রুয়ারি খুন হন। এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় মামলাও হয় (মামলা নম্বর ৬)। পরে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৪। এরই অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে বাচ্চু বাহিনীর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, আটক তিনজন এই বাচ্চু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তাদের ফোন নম্বার পর্যালোচনা করে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় র‌্যাব। জোনায়েদ ছাড়াও আরো কয়েকজনকে আইয়ুব বাচ্চুর নির্দেশে খুন হুমকি দেওয়া এবং হত্যা করা হয়। প্রায় ৩ বছর আগে জোনায়েদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে বাসায় গুলিও করেছিল গ্রেফতারকৃত মৃদুল। ঘটনাটির বর্ণনা দিতে গিয়ে মেজর আবু সাঈদ খান বলেন, ‘বাচ্চুর নির্দেশনাতেই মৃদুলসহ তিনজন গুদারাঘাট এলাকায় বসে পরিকল্পনা করে। এরপর ২ ফেব্রয়ারি মৃদুল, মিঠ, জুয়েল ও সোহেলসহ আরো কয়েকজন জুনায়েদকে অনুসরণ করে। তিনি হোটেল থেকে বের হলে কৌশলে ডেকে নিয়ে গুম করে তারা। এরপর চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় জুনায়েদকে।’ পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে টোলারবাগ মসজিদের সামনে মরদেহ ফেলে চলে যায় বাচ্চু বাহিনী। আটককৃতরা সবাই জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেন আবু সাঈদ খান। তিনি জানান, জড়িত অন্যদের আটক করার চেষ্টা চলছে।

No comments: