রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

মিডিয়ায় নারীরা এখন নিরাপদ: মারিয়া নূর

মারিয়া নূর একজন জনপ্রিয় উপস্থাপক। মিডিয়ার জনপ্রিয় নারীমুখ।  আজকের সময়ে মিডিয়ায় নিজের অবস্থান তৈরি করতে গিয়ে একজন নারীর কি ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়, নারীরা  মিডিয়ায় কতটুকু নিরাপদ এই সময়ে, এসব জানতেই নারী দিবসে মুখোমুখি হয়েছিলাম  তরুণ প্রজন্মের  এ প্রতিনিধির কাছে...
নারী দিবস কেমন কাটলো?  নারীদের সন্মাননা দিচ্ছে আরটিভি। সেই প্রোগ্রামে থাকার কথা ছিলো। কিন্তু অসুস্থতার কারণে যেতে পারিনি। এখন বাসায়। একটা প্রোগ্রাম।দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়ায় কাজ করছেন। মিডিয়ায় নারীরা কতোটুকু নিরাপদ বলে মনে করেন? প্রত্যেকটা নারীর নিরাপত্তা নিজের কাছে। নিরাপত্তটা নিজের কাছে। তবে আগে শুনতাম মিডিয়ায় নারীরা নিরাপদ না। কিন্তু সেই সময়টা পাল্টে গেছে। নারীর নিরাপত্তা নিয়ে এখন আর কোন প্রশ্ন নেই। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নেগেটিভ পরিস্থিতির সম্মুখিন হইনি। আগে স্পোটর্স প্রোগ্রামগুলো উপস্থাপনা করতে গেলে অনেকেই বলতো, ওতো মেয়ে খেলাধুলার কি  বোঝে। কিন্তু এখন দর্শকরাই বলে ক্রিকেট মানেই মারিয়া। নারীদের নিয়ে অন্যদের মানসিকতার পরিবর্তনের কারণ কি? দেশে চ্যানেলে সংখ্যা বেড়েছে। কাজে পেশাদারিত্ব এসেছে। প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ক্ষেত্রটা বড় হওয়াতেই সবার মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। পর্দায় নারীকে কিভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে মনে করেন? নারীদের বানিজ্যিক পন্য হিসেবে ব্যবহারের সংস্কৃতি দেশে চালু হয়নি। নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রেখেই কাজ করছি। নারী নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের জায়গাটা তৈরী করে নিচ্ছে। নারীরা মানসিকভাবে এখন খুব শক্তিশালী। দুর্ঘটনাবশত কোন বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেও তারা ভালোভাবেই জানে কিভাবে ফাইট করকে। নিজেরা হ্যান্ডেল করতে পারি।নারী দিবস মানেন কি না? নারী দিবসের দরকার আছে। এই দিনে পুরুষরা অন্তত একটা দিন আলাদাভাবে নারীদের নিয়ে ভাবার সুযোগ পায়। তারা বুঝতে পারে নারীরা তাদের জন্য কতো কাজ করছে। নারীর অবদানকে মুল্য দিন। নারীদের উদ্দেশ্যে কি বলবেন আজকের দিনে? নারীরা কারো উপর নির্ভরশীল নয়। বিষয়টা যেন সবার মাথায় থাকে। আমি ভাঙবো কিন্তু মরবো না। আত্মবিশ্বাসটা থাকতে হবে। আর সৌন্দর্য থাকে মনে, বাইরে নয়।

No comments: