রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

টাকার লোভেই শোয়েবের মুখে ভারতের বন্দনা!

ইদানীং টেলিভিশনে শোয়েব আখতারের কণ্ঠে ভারতের অকুণ্ঠ প্রশংসা দেখে বেশ অবাক হন। বীরেন্দর শেবাগ ভাবেন, এটা কি সেই শোয়েব, খেলোয়াড়ি জীবনে যিনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের উদ্দেশে খিস্তি আর গালির বন্যা বইয়ে দিতেন! শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি, ভিভিএস লক্ষ্মণ কিংবা শেবাগের দিকেও শোয়েবের কম গালির মিসাইল ছুটে আসেনি। এই শোয়েবই এখন ভারত আর ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শেবাগ ভাবেন, টাকার কত ক্ষমতা! টাকা পেয়েই নাকি শোয়েবের মুখে খই ফুটছে ভারতের প্রশংসায়! শেবাগ বলেছেন, ‘শোয়েব আসলে ভারতের মাটিতে একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে, সে কারণেই তার কণ্ঠে ভারতের প্রশংসা। টাকার জন্যই সে এখন ভারতের ভালো বন্ধুতে পরিণত হয়েছে।’ ভারতের পক্ষে ভালো ভালো কথা বলার অর্থনৈতিক দিকটাও ব্যাখ্যা করেছেন শেবাগ, ‘দেখুন, ভারত হচ্ছে ক্রিকেট বাণিজ্যের তীর্থ। বাজারটা বিশাল। টাকার মূল্যও এখানে বেশি। ভারতে ধারাভাষ্য দিয়ে আপনি যদি পারিশ্রমিক হিসাবে ১ লাখ রুপিও পান, পাকিস্তানে গিয়ে সেই অর্থমূল্য হয়ে যায় ২ লাখ। সে জন্যই ইদানীং পাকিস্তানি সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা ভারতে ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য উন্মুখ। পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে অনেকেই ধারাভাষ্য দেন। সাকলায়েন মুশতাক, মোহাম্মদ ইউসুফ, রাও ইফতিখাররা ভারতকে নিয়ে ভালো ভালো কথা বলেন। সবারই আসল লক্ষ্য ভারতের বাজার।’ শোয়েবের সঙ্গে নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের মুখোমুখি অবস্থানের স্মৃতিও টেনে এনেছেন শেবাগ, ‘খেলোয়াড়ি জীবনে এই শোয়েবই আমাদের একবিন্দুও ছাড় দেয়নি। সে যখন আমাকে বল করত, তখন দয়া-মায়া ভুলে গিয়েই সে বল করত। অনেকেরই বিশ্বাস হয় না, সেই শোয়েব এখন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। টাকা আসলেই অনেক কিছু করতে পারে।’ এবারের এশিয়া কাপে যুবরাজ সিংয়ের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন শেবাগ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্টদেরও একটা তালিকা দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে ভারত তো সেমিতে যাচ্ছেই, শেষ চারের লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গী হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সূত্র: ডেকান ক্রনিকল।

No comments: