রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

ষড়যন্ত্র পরাজিত হয়েছে, দ্রুত কার্যকরের দাবি

ঢাকা : একাত্তরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে আলবদর বাহিনীর অন্যতম শীর্ষনেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখায় ষড়যন্ত্র পরাজিত হয়েছে  বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে রায় ঘোষণার পর রাজধানীর শাহবাগে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘এই রায়ে গণজাগরণ মঞ্চ সন্তোষ প্রকাশ করছে। এই রায়ের মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়েছে। ধনকুবের যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমকে রক্ষার জন্য দেশবিরোধী অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত পরাজয় হয়েছে এই রায়ের মাধ্যমে। এই রায়ের মাধ্যমে দেশবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্রের বিপরীতে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতার বিজয় অর্জিত হয়েছে, প্রমাণিত হয়েছে ন্যায্য আন্দোলনের শক্তির কাছে কোনো ষড়যন্ত্রই বাধা হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে এই রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই রায় প্রদান করে আদালত প্রমাণ করেছেন, তারা আপস করেননি বরং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে যুদ্ধাপরাধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের যবনিকাপাত ঘটিয়েছেন। একইসাথে আমরা আশা করছি জামায়াতে ইসলামীর আমির রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীসহ বাকি যে মামলাগুলো আপিল বিভাগে ঝুলে আছে তারা সেগুলোও দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেবেন। ‘কেননা আমরা এর আগেও দেখেছি, এই যুদ্ধাপরাধী চক্র সর্বশক্তি দিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করে, যাতে সেই সুযোগে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করার সুযোগ পায়। এমনিতেই ৪৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে, এখন আদালতের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করুন, যাতে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার বঞ্চিত না হয় এবং দেশবিরোধী অপশক্তি নতুন করে ষড়যন্ত্রের সুযোগ না পায়।’ সোমবার ইমরান এইচ সরকার বলেছিলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে আমরা প্রজন্ম চত্বরে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে থাকব ও যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে দাবি আদায় করে নেব।’ সে অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকেই শাহবাগে অবস্থান নেন তারা। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মীর কাসেমের আলীর আপিলের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহালের খবর পৌঁছালে শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণের কর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। এ পরই তারা আনন্দ মিছিল বের করেন। মীর কাসেমের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়ে ইমরান আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধাপরাধীর স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলেন, যাতে বিপুল সম্পদকে ব্যবহার করে এই সন্ত্রাসীরা নতুন কোনো নাশকতার পরিকল্পনা কিংবা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করতে না পারে।’ গণজাগরণ মঞ্চ ‘মীর কাসেমকে রক্ষার সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করেছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার দাবিতে সমাবেশ, গণ-অবস্থান, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচিতে রাজপথে ছিল গণজাগরণ মঞ্চ।

No comments: