রাজনীতি

[রাজনীতি][twocolumns]

আন্তর্জাতিক

[আন্তর্জাতিক][bleft]

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

[বিজ্ঞান-প্রযুক্তি][bsummary]

মাহফুজ আনামকে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কৃত করা উচিত

ঢাকা : ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে পুরস্কৃত করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর মুক্তির দাবিতে ‘বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আপনি বলেছিলেন, এক-এগারোর সরকার আপনাদের আন্দোলনের ফসল। যদি তাই হয় তাহলে এক-এগারো সফলের ক্ষেত্রে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ আরো অনেক সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের ভূমিকা আছে। আপনি তো তাদের পুরস্কৃত করতে পারেন। আর এসব পুরোনো বিষয় নিয়ে যদি ঝগড়া করেন, তাহলে দেশের জনগণ তো সব কথাই জেনে যাবে।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘এক-এগারোর কারচুপি ও ষড়যন্ত্রের ফসল হলেন আপনি। কেননা, এক-এগারোর ষড়যন্ত্র না হলে আপনিও প্রধানমন্ত্রী হতেন না। সুতরাং আপনি বেনিফিসিয়ারি। ষড়যন্ত্রে আপনি যেহেতু বেনিফিসিয়ারি, সুতরাং ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আপনার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই-এমন কথা কারো কাছে যুক্তিযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নয়।’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর বলেন, ‘এক-এগারোর পর আজকে কেচ্ছা-কাহিনী অনেক লেখা হয়েছে। আপনার বিরুদ্ধে যা লেখা হয়েছে তা যদি মিথ্যা হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যা লেখা হয়েছে তা সত্য হয় কী করে? নাইকো দুর্নীতির মামলায় আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি মুক্তি লাভ করতে পারেন, তাহলে আদালত কী কারণে খালেদা জিয়ার মামলা এখনো বলবৎ রাখে এবং বিচার প্রক্রিয়া চালু রাখেন?’ তিনি আরো বলেন, ‘এক-এগারোর ষড়যন্ত্রে মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনামের সঙ্গে একাত্ম হয়েছিলো আপনাদের (আওয়ামী লীগ) কিছু লোকও, যারা আপনার আশপাশের মন্ত্রী-এমপি। তাহলে তারা কেন ষড়যন্ত্রকারী না? তাহলে কি ওই ষড়যন্ত্র নাটক ছিল, আপনাদের পাতানো খেলা ছিল?’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন, মাইনাস-টু। আসলে খেলাটা মাইনাস-টু ছিল না, ছিল মাইনাস ওয়ানের। সেটি এখনো কন্টিনিউ করছেন। আর যদি মাইনাস-টুতে বিশ্বাস করেন, তাহলে কি মনে করেন-সেই ষড়যন্ত্র চলে গেছে। না, ষড়যন্ত্র রূপ পাল্টিয়েছে। সেজন্য এই ষড়যন্ত্রে এখন মাইনাস ওয়ান করছেন, আবার কবে মাইনাস টু-তে পড়বেন বলতে পারছেন না। এ থেকে রেহাই পেতে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেন। ওই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই।’ ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবেই এমন দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে দলের এ নীতি-নির্ধারক বলেন, ‘বিএনপি ২০১৩ সালে কাউন্সিলের শতভাগ প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু কাউন্সিলের ঠিক আগেই হাসিনা বাহিনী বিএনপির পার্টি অফিসে হানা দিয়ে ১৫৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এবার ১৫৬ কেন, ১ হাজার ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও কাউন্সিল হবে। তাই কাউন্সিল নিয়ে টালবাহানা করবেন না। অবিলম্বে কাউন্সিলের অনুমতি দিন।’ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শিশিরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

No comments: